মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৫ পূর্বাহ্ন

মার্চ নিয়েছে রক্ত; দিয়েছে মুক্তির সোপান

মার্চ নিয়েছে রক্ত; দিয়েছে মুক্তির সোপান

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) ছিলেন নবীকূলের শ্রেষ্ঠ নবী এবং আমরা উনার উম্মত। বিধর্মীয়রাও উনাকে সম্মান করে এবং একজন মানবতাবাদী দার্শনিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। মহানবী (সা:) উনার জীবনে শেষ সায়াহ্নে বিদায় হজ্বের ভাষণের মাধ্যমে বিশ্বের মুসলমানদেরকে কিছু মৌলিক দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন। যেমন- উনি বলেছিলেন আমি যদি এ প্রান্তরে উপস্থিত নাও হতে পারি- তবু তোমরা শ্রমিকের ঘাম শুকানোর পূর্বে মজুরী প্রদান করবে, নারীদের সমঅধিকার নিশ্চিত করবে, ইত্যাদি-ইত্যাদি। অত:পর উনার মৃত্যুর পর বিশ্বের অনেক পথভ্রষ্ট জাতি উনার দিকনির্দেশনা মেনে ইসলামের পতাকা তলে সমাবেত হয়েছে এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা পেয়েছে।
আমার উল্লেখিত প্রসঙ্গ ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে বিশ্লেষিত। এরই ধারাবাহিকতায় রাজনীতির শিষ্টাচার, অধিকার ও স্বাধীকার আদায়ের লক্ষ্যে ’৭১ এর ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্বালাময়ী ভাষণটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কেননা ৭ই মার্চের স্মরণ কালের বৃহত্তম জনসভায় শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে রাজনীতির নির্দেশনা দিতে গিয়ে বলেছিলেন- আমি যদি তোমাদের হুকুম নাও দিতে পারি তবুও- ‘তোমরা ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তুলো।’ ‘এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম’ ইত্যাদি-ইত্যাদি। কোথায় যেন বিদায় হজ্বের ভাষণের সাথে ৭ই মার্চের ভাষণটির নীতি ও তথ্যগত মিলের আভাস পাওয়া যায়।

অবস্থাদৃষ্টে, পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়- একজন বিশ্বনেতা ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের বিদায় হজ্বের ভাষণের সাথে একজন আঞ্চলিক রাজনৈতিক নেতার ভাষণের সাথে বেশ সাদৃশ্য ও তথ্যগত মিল রয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ৭ই মার্চের জ্বালাময়ী ভাষণকে স¦াধীনতাকামী বাঙালীরা বুকে ধারণ করেছে। শুধু তাই নয়; মুক্তির লক্ষ্যে কৃষক কাঁচি ফেলে রাইফেলের ট্রিগারে আঙ্গুল চাপল; শ্রমিক হাতুড়ি নয়, বেয়নেট আঁকড়ে ধরল। আর বংশীবাদক বাঁজাল রণতুর্য। বীরাঙ্গণারা দেশের জন্য দান করল ইজ্জত- সম্ভ্রম। লেখক কলম ছেড়ে ঝুপের আড়াল থেকে এসএমজি তাক করল। অবশেষে আমরা পেলাম মুক্তির স্বাদ।

শাফায়েত জামিল রাজিব
-সম্পাদক, একুশে টাইমস্ নিউজ মিডিয়া

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana